জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার সব নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠোনো হয়েছে। বুধবার সু্প্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মূলত বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেটাই ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত। ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করে থাকেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হয়।
দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। তবে এদের মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দীপন হত্যা মামলার রায়ে বরখাস্তকৃত মেজর জিয়াসহ ৮ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ঢাকা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। তাদের সবাইকে র্সবোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।নিহত দীপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীপন হত্যাকাণ্ডের দিনেই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন। নিহত দীপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে।