নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জাতীয় সরকার নিয়ে সংলাপ হতে পারে : জেএসডি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ৭, ২০২২, ০৬:৪১ পিএম

নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জাতীয় সরকার নিয়ে সংলাপ হতে পারে : জেএসডি

রাষ্ট্রপতির সংলাপকে ‘অর্থহীন’ অভিহিত করে সেই সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। শুক্রবার বিকালে তার নিজ বাসায় এ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিদ্ধান্ত জানান দলটি সভাপতি আসম আবদুর রব। এর আগে উত্তরায় আসম আবদুর রবের বাসায় দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক হয়। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সোমবার জেএসডির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের সময়সূচি নির্ধারিত হলেও দলটি আজ শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নিলো তারা। সংবাদ সম্মেলনের পর প্রস্তাবসহ একটি চিঠি জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বঙ্গভবনে পৌঁছে দেন বলে জানান আসম আবদুর রব।

নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংলাপ

তিনি বলেন, বলেন, সংলাপ হবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে। আমরা বিশ্বাস করি, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারেন্টি এখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যে জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি।

আসম রব বলেন, ‘যেহেতু বর্তমান সরকার সংবিধানের ইচ্ছা আকাংখা ও সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে না, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবী মামলা দিচ্ছে এবং পুরনো মামলার সূত্র ধরে আবারো গ্রেফতার শুরু করেছে। সেহেতু শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন গঠন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কোনো গ্যারেন্টি বা সমাধান নয়।’

আসম রব আরো বলেন, বাস্তবতার প্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে জেএসডি অংশ গ্রহন করছে না। এই ধরণের সংলাপ রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সুরক্ষার উপযোগীও নয় বলে আমরা মনে করি।

যারা ছিলেন সম্মেলনে

সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, তৌহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা কামাল পাটোয়ারী ও বেলায়েত হোসেন বেলাল প্রমূখ।

আসম রব বলেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে সুশাসন ও গণতন্ত্রের অনুপুস্থিতির কারণে ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ বড় ধরনের সংকটে নিপতিত হতে যাচ্ছে। যেমন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে ছয়’শ নাগরিক গুম হওয়া সংক্রান্ত উত্থাপিত অভিযোগ।

তিনি আরো বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং জাতিসংঘের উত্থাপিত গুম সংক্রান্ত প্রশ্নকে উপেক্ষা করার কুফল, সুদূর প্রসারী প্রভাব এবং পরিণতি যথাযথ বিবেচনায় না নিলে রাষ্ট্র আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার প্রশ্নে বড় ধরনের হুমকিতে পড়বে, যা সমগ্র জাতির উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু পূর্ব থেকেই আমরা সরকারকে এসব বিষয়ে সতর্ক করে আসছিলাম। কিন্তু সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে ‘প্রকৃত সত্য’ উদঘাটন ও প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে রাষ্ট্রকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।

 জেএসডি’র এই সভাপতি বলেন, তাই আমাদের আইনের শাসন, ভোটাধিকার ও অংশিজনের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজনীতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

Link copied!