যশোরের অভয়নগরে শারীরিক সম্পর্কের ঘটনাকে চাপা দিতেই খুন করা হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের আলমগীর হাওলাদারকে। ইয়াবা সেবনের পর তার তিন বন্ধু মিলে তাকে বলাৎকার শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে। সোমবার যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন আটক আসামি সাগর মোল্লা। বিচারক মাহাদী হাসান তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় ইয়াছিন ও আবুল কালাম নামে আরো দুজন জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
গ্রেফতারকৃত সাগর মোল্লা উপজেলার পাঁচকবর এলাকার স্বপন মোল্লার ছেলে। পলাতক আবুল কালাম ও ইয়াছিন উপজেলার ধোপদী গ্রামের ফকিরবাগান এলাকার বাসিন্দা।
আসামি সাগর মোল্লা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি, নিহত আলমগীর হাওলাদার, আবুল কালাম, ইয়াছিন— চার বন্ধু। প্রায় সময় তারা একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করতেন। ২ মার্চ সন্ধ্যায় আবুল কালাম ও ইয়াছিন মোবাইল ফোনে আলমগীরকে ইয়াবা নিয়ে ফকিরবাগানে আসতে বলেন। রাতে চার বন্ধু ওই বাগানে একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করেন। এরপর আবুল কালাম ও ইয়াছিন জোরপূর্বক আলমগীরের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে।
বিষয়টি আলমগীর সবাইকে জানিয়ে দেবে বলে হুমকি দেন। পরে এ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে এক পর্যায়ে তারা তিনজন মিলে আলমগীরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তারপর বাগানের একটি গাছের সাথে হাত ও পা বেঁধে বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে পালিয়ে যান বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে গত ৩ মার্চ সকালে উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ফকিরবাগানে একটি দেবদারু গাছের সাথে হাত-পা বাঁধা গলায় ফাঁস দেওয়া বিবস্ত্র অবস্থায় আলমগীর হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে অভয়নগর থানা পুলিশ। এরপর নিহতের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।