চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকে হজরত আলী (৫৭) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। স্বজনদের দাবি, তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। এ কারণে চোরাকারবারিরা ‘পেশাদার খুনি’ দিয়ে তাকে হত্যা করিয়ে থাকতে পারে।
উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে হজরত আলীর মাথায় গুলি করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে বিজিবির অভিযানে ১৭ দিনের ব্যবধানে সোনার দুটি বড় চালান ধরা পড়ে। ৭ ডিসেম্বর দর্শনা থানার মেমনগর এলাকা থেকে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের এবং ২৪ ডিসেম্বর দর্শনা থানার রামনগর এলাকা থেকে ২ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের সোনার বার জব্দ করে বিজিবি। চালান দুটি ধরার পেছনে হজরত আলী বিজিবিকে সহায়তা করেছেন—এমন ধারণা করে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, গতকাল রাতে হজরত আলী নিজ ঘরের চৌকির ওপর এবং স্ত্রী নারগিস খাতুন মেঝেতে শুয়ে ছিলেন। ঘরের জানালা খোলা ছিল। রাত একটার দিকে দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে হজরত আলীর মাথায় একটি গুলি করে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুল কবীর বলেন, “বিজিবির সোর্স হওয়ায়, নাকি অন্য কোনো কারণে হজরত আলী খুন হয়েছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।”