আগস্ট ১৭, ২০২৩, ০৮:১৩ পিএম
সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিএনপি এদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ পরশ বলেন, ১৫ই আগস্টের মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল-আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা, বাঙালির পরিচয় বিনষ্ট করা, ষড়যন্ত্র ছিল আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্রগুলো ধ্বংস করা, আমাদের গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, অর্থনীতির স্তম্ভগুলো ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ১৫ই আগস্টের মূল মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য হত্যার মাধ্যমে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে। সেই হত্যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান। রাতের অন্ধকারে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে যারা সপরিবারে হত্যা করে, নারী ও শিশুদেরকে যারা রক্ষা দেয় নাই তারা আবার বাংলাদেশের মাটিতে রাজনৈতিক দল করে গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে।
যুবলীগ সভাপতি বলেন, আমাদের কথা বলার ভাষা থাকে না। আমরা ২১ বছর কোন বিচার পাই নাই। দ্বারে দ্বারে দৌঁড়াতে হয়েছে। আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আল্লাহ বিচার করেছে। কোন মানুষের পক্ষে ঐ দুর্বিসহ, অপরিসীম সাহস দেখানো সম্ভব না।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ৩৫ বছরের অপেক্ষার মাধ্যমে, বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে, লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে, জীবনের ওপর হুমকি বলেন, আক্রমণ বলেন সেগুলো উপেক্ষা করে তিনি এই খুনিদের বিচার করেছেন। তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট তারা দেশের ৬৩ টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা করলো, তারা আঘাত করলো প্রেসক্লাবে কারণ তারা ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত যে পরিমাণ অত্যাচার, খুন, হত্যা করেছে, আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের এই সকল হত্যাকাণ্ড, সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষের আর্তনাদ যেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না করে এই কারণেই প্রেসক্লাবে বোমা হামলা চালায়। তারা আঘাত করলো বিচারালয়ে। যেন বিচারক এবং সাধারণ মানুষ ভয় পায়।
শেখ পরশ বলেন, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র এইগুলোই বিএনপির রাজনীতির অস্ত্র, রাজনৈতিক কৌশল। এর বাইরে তারা আর কোন কৌশল জানে না। তারা আজও সেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। হত্যার ষড়যন্ত্র এবং লাশ ফেলানো তাদের রাজনৈতিক কৌশল। তারা লাশের রাজনীতি করতে চায়, তারা মানুষ হত্যা করে সেটা আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিবে। তারা অরাজকতা সৃষ্টি করে বিদেশীদের মাধ্যমে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।
তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চায়, তারা শেখ হাসিনার সাথে আছে, উন্নয়নের সাথে আছে। এই উন্নয়ন এবং দেশের শান্তি বিএনপির ভাল লাগে না। এটাকে বিনষ্ট করাই তাদের মুল উদ্দেশ্য। তাদের প্রধান শত্রু এদেশের জনগণ। কারণ তারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল এদেশের জনগণের কাছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশের মুক্তিকামী জনগণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। এ কারণে তাদের আক্রোশ এদেশের জনগণের ওপর। আওয়ামী লীগ তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এদেশের জনগণ। এ কারণে বার বার বিএনপি-জামাত এদেশের মানুষকে ভিকটিম বানায়, তাদের ওপরেই আঘাত করে, অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে।