ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ১২:৫৪ পিএম
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিএনপির চরিত্র কখনো বদলাবে না। জনগণের কল্যাণের কথা এরা চিন্তা করে না। নিজেদেরটাই শুধু ভালো বোঝে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে অর্থসম্পদ বানানো, বিদেশে পাচার করা, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ, এগুলোই করেছে। আর তাদের কাছ থেকে এখন বড় বড় কথা শুনতে হয়। এটাই বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য।’
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
সংলাপ করতে চাওয়া নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ডায়ালগের জন্য ফোন করলাম, যে ধরনের আচরণ করল, আমি অবাক হলাম। এরপরেও নির্বাচন হয়ে গেল। ২০১৮ সালে আবার যখন আহ্বান করলাম, সব দলই কথা বলল, শুধু বিএনপি ছাড়া। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসে।’
‘নির্বাচন তারা করবে কীভাবে। কারণ তারা নমিনেশন দেয়, একটা আসে লন্ডন থেকে, একটা আসে পল্টন থেকে, আরেকটা আসে গুলশান থেকে। যখন লন্ডনেরটা আসে, তখন পল্টনেরটা চলে যায়, যখন পল্টনেরটা থেকে তখন গুলশানেরটা যায়। এই করে সকালে একটা নির্বাচন দেয়, বিকেলে একটা নির্বাচন দেয়। শেষকালে পল্টনও গেল, লন্ডনও গেল, গুলশানও গেল,’ যোগ করেন তিনি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির কয়েকটা সিট পেয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের যারা পার্লামেন্টে সদস্য ছিল, আমরা তাদের সবরকম সুযোগ দিতাম কথা বলার। কারণ আমরা যখন বিরোধী দলে দিতাম, তখন আমাদের কথা বলতে দেওয়া হতো না। এমনকি ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেয়নি। আমি বিরোধী দলের নেতা হয়েও আমি কোনোদিন মাইকই পেতাম না।’
বিএনপির মাথা নেই, শুধু একটা ধড় চলছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন আবার যখন নির্বাচন এসেছে, তখন তাদের নানা কথা, নির্বাচন করবে না। আসলে নির্বাচন করবে কীভাবে। ওই দলের তো মাথা নেই, শুধু একটা ধড় চলছে। সেটাও একটা গুলশান, আর একটা পল্টন থেকে। এই দুই জায়গা থেকে তারা চলছে। আর কোন কোন অন্ধকার জায়গা থেকে তারা কথা বলে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন হরতাল ডাকে, অবরোধ ডাকে, মানুষ পুড়িয়ে মারে।’
তিনি বলেন, ‘লন্ডন বসে হুকুম দেয়, আর এখান থেকে আগুন দেয়। এই আগুনের খেলা ভালো না। বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, যারা আগুন দেয় তাদের প্রতিহত করুন।’
বিএনপির অবরোধে তারা নিজেরাই অবরুদ্ধ হয়ে যায় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া তো বছরের পর বছর অবরুদ্ধ, কারণ ২০১৪ সালে তিনি যে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল, তা এখনো তোলেনি। এখন আবার অবরোধ দিচ্ছে, হরতাল দিচ্ছে।’