নভেম্বর ২, ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সব দলকে আলোচনার টেবিলে আনতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
বৃহস্পতিবার রাতে একাদশ সংসদের শেষ কার্যদিবসে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, সংসদনেত্রী শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, তিনি জাতির জনকের কন্যা হিসাবে তার অনেক দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি কে কী বলল, কে সমালোচনা করল এগুলোর উর্ধ্বে সবগুলো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে একটেবিলে আলোচনার জন্য উদাত্ত কন্ঠে আহ্বান জানান।
বিরোধীদল বিএনপির উদ্দেশে চুন্নু বলেন, বিএনপিসহ মাঠে যারা আছেন তাদেরকে বলব আপনারা আল্লাহর ওয়াস্তে জনগণের দিকে তাকিয়ে শর্ত বাদ দিয়ে সব শর্ত টেবিলে এসে আলোচনা করেন, পূর্বশর্ত বাদ দিয়ে।
চুন্নু বলেন, গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যারা আন্দোলন করছেন তারা যদি শর্তহীনভাবে আলোচনা করতে আসেন তাহলে আলোচনা করবেন। আজকে যিনি সংসদ নেতা আপনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, বাংলাদেশে আরও প্রধানমন্ত্রী হবে। আপনার পরিচয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে না, আপনার যে একটা পরিচয় আছে সেই পরিচয় কারো হবে না। আপনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। সেজন্য আপনার প্রধানমন্ত্রীর পরও একটা দায়িত্ব আছে। আজকে দেশে ১২তম সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আজকে যারা আন্দোলন করছেন একসময় বলতেন নিরপেক্ষ সরকার বলতে পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ হয় না। হাইকোর্টের রায়ে এসেছে বর্তমান সংবিধানে যেভাবে নির্বাচনের কথা। একটি রাজনৈতিক দল এবং আরও কিছু দল আন্দোলন করছে তারা কেয়ারটেকারে নির্বাচন চায়, একদফা। সরকারেরও একদফা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলেরও একদফা সরকারের পদত্যাগ। জাতীয় পার্টি কিন্তু কোন এক দফায় বিশ্বাসী না। জাতীয় পার্টি চায় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কীভাবে সম্ভব।
চুন্নু বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের সাথে জোটও করেছিলাম, তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিলো। তাই আমরা সেই প্রেক্ষিতে বলব আজকে এই সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে বের হতে হবে। কয়দিন আগে একজন পুলিশকে অন্যায়ভাবে মারা হয়েছে। এগুলো সহ্য হয় না। এই আন্দোলনের কারণে কয়জন নিরীহ মানুষ মারা গেছে সেটিও গ্রহণযোগ্য নয়। আগামি রোববার ও সোমবার আবার ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়েছে। মানুষ একটা আতঙ্কের মধ্যে আছে, শঙ্কার মধ্যে আছে। তাই বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ দুই দলেরই বড় দায়িত্ব মানুষের দিকে তাকিয়ে দফা টফা বাদ দিয়ে, ইগো বাদ দিয়ে এক টেবিলে বসে সংবিধানের মধ্যে থেকে তো একটা পথ বের করতে পারি নিরপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে সম্ভব। এবং সেই কাজটাই প্রধানমন্ত্রী যেনো অগ্রনী ভূমিকা নেন সেটি আমি আমার দলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাই।