অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারার পেছনে কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীর ইন্ধন ছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
তিনি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং দুর্গাপূজায় অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের মদত যে ছিল সেটা ইতোমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে।
রোববার, ০৫ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজার সময় ভারতের কিছু জায়গায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অসুর বানিয়ে উস্কানি ও নিন্দনীয় কাজ করার তথ্য পাওয়া গেছে। অসুরের মুখে দাড়ি দেওয়ার কাজটির মধ্যেও প্রতিবেশী দেশটির যোগসূত্র পাওয়া গেছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দাদের কড়া নজরদারি এবং পূজা উদযাপন কমিটির সহযোগিতায় আমরা এ ধরনের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি। ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরা অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং সহিংসতা সৃষ্টির যে পাঁয়তারা করেছে, সেটার সঙ্গেও কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীর ইন্ধন ছিল। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। গতবারের মতো এবারও সারা দেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৭৯৩টা মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর তথ্য রয়েছে। এসবের প্রত্যেকটি ঘটনায় পুলিশ সাধারণ ডায়েরি করে তদন্ত করছে।
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অপূর্ব পালের কোরআন অবমাননার সঙ্গে এসবের কোনও যোগসূত্র আছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত বিষয়টি তদন্তাধীন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ে যে ধর্ষণের ঘটনায় এত তুলকালাম হয়েছে, মেডিক্যাল রিপোর্টে সেই ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীগুলো পাহাড়ের সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় ঘটনাকে সুন্দরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। এরইমধ্যে পাহাড়ে অবরোধ এবং ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, কোর কমিটির সভায় জাতীয় নির্বাচন, চাকসু ও রাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব অস্ত্র লুট হয়ে গেছে সেগুলোর উদ্ধার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। চুরি-ছিনতাই মাদক ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।