নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে মহানগরীর পানিশাইল এলাকায় ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এবং পরে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ জাড়িয়ে পড়েন বলে বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিরানী বাজার এলাকার এ ঘটনা ঘটে। রোববার ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি খুলে দেওয়া হলেও দুপুরের পর ছুটি দিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এসে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান।
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে তারা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানী এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ওই সময়ে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরাও একই স্থানে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন।
এ সময় শ্রমিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা সাভারের আশুলিয়ায় জিরানি বাজারের পাশে অ্যামাজন নিটওয়্যার নামের কারখানায় আগুন দেন।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, বেক্সিমকোর শ্রমিকরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশের ২০টি কারখানায় কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। কর্তৃপক্ষ গত ১ নভেম্বর থেকে পানিশাইল এলাকার ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল।
গাজীপুর শিল্পপুলিশ ২-র পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘বেক্সিমকোর কারখানার শ্রমিকরা বেতন ছাড়া সড়ক থেকে যেতে চাচ্ছেন না। বিষয়টির সমাধান করা উচিত। এখানে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আশপাশের ২০টি কারখানায় আজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মহাখালীর অবরোধ তুলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা
এলাকাবাসী জানান, শ্রমিকরা পানিশাইল ও কলতাসুতি এলাকায় ঢুকে পড়ে লোকজনদের মারধর করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। বেশ কিছু সময় ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকোর কিছু শ্রমিক পূর্ব কলতাসুতি এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার পোশাক কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, শিল্পপুলিশ, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
গাজীপুরের কাশিমপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই পোশাক কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন। ডিপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’