নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর কোনো ধরনের আঘাত সহ্য করা হবে না।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের এক মুখপাত্র এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘কোনো সংবাদপত্রের ওপর হামলা আমরা বরদাশত করব না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি আমরা শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা কোনো সরকারি সংস্থা কোনো রিপোর্টের বিষয়ে কাউকে একটি ফোনও করেনি। `এমন একটা উদাহরণও নেই`
আলম বলেন, ‘আমরা বিনয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার প্রতিবেদন পুনর্বিবেচনা করার জন্য জানিয়েছিলাম। যখন আমরা কোনো প্রতিবেদনে ভুল লক্ষ্য করেছিলাম।’
গত ১৫ বছরে দেশটি যেসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে এবং কীভাবে এটি একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে তা স্মরণ করেন প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল বা কোনো অনলাইন মিডিয়া বন্ধ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্পাদক পরিষদ সম্প্রতি বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও সমাজের কোনো কোনো মহলের কাছ থেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনও আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রিন্ট মিডিয়া অফিসগুলো হামলা ও অবরোধের হুমকির সম্মুখীন।
আরও পড়ুন: প্রেস সচিবের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে: প্রেস উইং
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস উপসচিব আজাদ বলেন, সরকার সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি দেখেছে এবং তা পর্যালোচনা করেছে।
তিনি বলেন, সরকার বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং যদি কেউ কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয় তবে প্রয়োজনীয় যা কিছু করা দরকার তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রেস সচিব আলম বলেন, সরকার `মুজিববর্ষের` নামে কী পরিমাণ অর্থ অপচয় হয়েছে তা বের করতে সরকারি ও বেসরকারি অর্থ ব্যয়ের একটি ডকুমেন্টেশন তৈরি করবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের ফলাফলের ওপর ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।