সেমিনারে নৌ-প্রতিমন্ত্রী

‘সুনীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার বদ্ধপরিকর’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২৫, ২০২৪, ০৭:৫৪ এএম

নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এদেশকে স্মার্ট ও উন্নত করে তুলতে হাইড্রোগ্রাফি, সমুদ্র বিজ্ঞান এবং সুনীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বদ্ধপরিকর।

বিজয় সরণীতে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে রাজধানীর বিজয় সরণীর বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়ামে নৌবাহিনী আয়োজিত ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিশিষ্ট পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটরস অধ্যাপক ড. আইন নিশাত ও ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফি কমিটির চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন বক্তৃতা করেন।

বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়াম ঘুরে দেখেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক দূরদর্শিতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বাংলাদেশের একচ্ছত্র সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়েছে। সমুদ্র বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি সুবিশাল অর্থনৈতিক এলাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এই সরকার সুনীল অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে যেসব বহুমুখী উদ্যোগ ও পরিকল্পনা নিয়েছে। তার অবারিত সুফল ভোগ করবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।”

নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশের সমুদ্র এলাকায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা ও এ-সংক্রান্ত সেবাদানের মাধ্যমে নিরাপদ নেভিগেশন ও সামুদ্রিক অর্থনীতির বিকাশে নৌবাহিনী ভবিষ্যতে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”

বিজয় সরণীতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

তিনি আরও বলেন, “সুনীল অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের শাসনামলে পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো মেগা প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে এবং মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট, নতুন এলএনজি টার্মিনাল, অফশোর রিনিউয়েবল এনার্জি প্রকল্প, সমুদ্র তলদেশের তেল ও গ্যাস সাপ্লাই পাইপলাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও কারিগরি বিষয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনে নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিসকে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আধুনিক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ জাহাজ ও স্মার্ট সরঞ্জাম সংযোজন করে কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আজকের এই দিনব্যাপী সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের মেরিটাইম সেক্টরের অংশীজন ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয় আরও সুদৃঢ় হবে। সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সমুদ্রকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালনায় দেশের সমুদ্র ব্যবহারকারী সব সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”

দিনব্যাপী এই সেমিনারে মূল প্রতিপাদ্য হলো- ‘হাইড্রোগ্রাফিক ইনফরমেশন- এনহান্সিঙ সেফটি, ইফিসিয়েন্সি অ্যান্ড সাস্টেইনেবিলিটি ইন মেরিন অ্যাক্টিভিটিজ’।

Link copied!