ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
অব্যাহত মূল্যস্ফীতির চাপের কারণে গত দুই বছরে মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। যা অন্তত ৭৮ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যার মধ্যে ৩৮ লাখ লোক অতি দরিদ্র হয়ে পড়েছে। রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রতিবেনটি উপস্থাপন করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক।
তিনি বলেন, অব্যাহত মূল্যস্ফীতির চাপে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গত দুই বছরে ৭৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে এসেছেন। এর মধ্যে ৩৮ লাখ মানুষ দরিদ্র থেকে অতিদরিদ্র ক্যাটাগরিতে নেমে এসেছেন। এছাড়া ৯৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষ অতিমাত্রায় দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ভুল নীতি, দুনীতি ও অনিয়মের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তাছাড়া অতিরিক্ত টাকা সরবরাহের কারণেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অর্থনীতির বিভিন্ন তথ্য অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। মূল্যস্ফীতির প্রকৃত তথ্য না দেখিয়ে কম দেখানো হতো। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে সব খাতে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে এখন প্রকৃত তথ্য দেখাতে গেলে মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশ হয়ে যাচ্ছে। সমালোচনা হয় যে আমরা ইনফ্লেশন কমাতে পারছি না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, কোনো তথ্যকে অতিরঞ্জিত করব না। যেটা আছে সেটি দেখানো হবে।
শফিকুল আলম বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে সরকার এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে কি লাভ বা লোকসান হবে, তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যেটা সবচেয়ে বেশি সুবিধা জনক হবে আমরা সেদিকে যাব। গ্র্যাজুয়েশন পেছানোর অনুরোধ জানানো হবে কিনা সেই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক এম. আবু ইউসুফ ও গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম।