নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ না দিলে চাকরি হারাবেন পুলিশ সদস্যরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক

আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৪:০১ পিএম

নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ না দিলে চাকরি হারাবেন পুলিশ সদস্যরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজে না ফিরলে পুলিশ সদস্যরা চাকরি হারাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

রোববার (১১ আগস্ট)সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ প্রথম সচিবালয়ে আসেন তিনি।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “পুলিশের যেসব সদস্য এখনও কাজে যোগ দেননি, তাদের জন্য শেষ সময় হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি কেউ যোগ না দেন, তাহলে ধরে নেওয়া হবে তারা চাকরিতে ইচ্ছুক নন।”

এই বৃহস্পতিবারের মধ্যে যে যার জায়গায় চলে যাবেন উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ডিউটিতে থাকবেন। যা হয়ে গেছে, অহেতুক কেউ কারও গায়ে হাত তুলবেন না। বিচার করার প্রক্রিয়া আমরা করব। বিচার বিভাগ বিচার করবে। যারা দোষী হবেন, বড় দোষী, ছোট দোষী যেই হোক, তাদের পানিশমেন্ট হবে। ঢালাওভাবে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না।”

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, “পুলিশের ম্যোরাল অনেক ডাউন। চেষ্টা করছি যাতে পুলিশ ফিরে আসে। পুলিশ ফিরে না আসলে আপনারা দেখছেন যে কী হতে পারে। একটু আগে দেখলাম ব্যাংকের মধ্যেও মারামারি। ব্যাংক দখল করবে কে কার আগে।”

পুলিশের গায়ে হাত না ওঠানোর আহ্বান জানিয়ে সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা পুলিশের গায়ে হাত ওঠাবেন না। আপনারা এখন দেখছেন যে, (পুলিশ ছাড়া) আপনারা নিজেরাই সাফার করছেন। রাতে আমার কাছে টেলিফোন আসে অমুক জায়গায় ডাকাতি হয়েছে। আমি বলি যে, আল্লাহ আল্লাহ করো, আর কিছু করার নেই। কী করার আছে সেখানে যদি পুলিশ না থাকে।”

এ ছাড়া চাকরি স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভ করা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সবার দাবি-দাওয়া আছে। আমারও আছে। আমার দাবি-দাওয়া হল আপনারা ফিরে যান। আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে আপনাদের কথা দিচ্ছি। এটা আমার দায়িত্ব যে আপনাদের কাছে আসা, আপনাদের কথা শোনা। যতদূর সম্ভব আমার পক্ষে ইমিডিয়েট যা করার করব।”

অন্য কোনও ইমপ্লিমেন্টেশন যদি থাকে, অন্য মন্ত্রণালয় থাকে, আমরা আলোচনা করে করব উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আপনারা দয়া করে রাস্তাটা ছেড়ে দেন, রাস্তা থেকে চলে যান। অন্যান্য ফোর্স বা অন্যান্য বাহিনী যারা আছে, প্রত্যেক বাহিনীর সঙ্গে আমি কথা বলব। আপনারা সবাই আমার পরিচিত। আপনাদের কমান্ডাররা আমার পরিচিত। আমি কোনও স্ট্রেইঞ্জ লোক না, আমি কোনও পলিটিশিয়ান না। আমি যা বলব তাই করব, তাই করার চেষ্টা করব।” 

Link copied!