প্রশ্ন ফাঁসে নিযুক্ত ৫১৬ জনের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সমাবেশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৯, ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম

প্রশ্ন ফাঁসে নিযুক্ত ৫১৬ জনের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সমাবেশ

ছবি: সংগৃহীত

পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত রেলওয়ের দশম গ্রেডের ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত একজন চাকরিপ্রার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, “পিএসসি আমাদের ভরসার জায়গা। পিএসসির কাছে আকুল আবেদন, রেলওয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই পরীক্ষা বাতিল করা হোক। প্রহসনমূলক এই পরীক্ষা বাতিল করে আবারও পরীক্ষা নেওয়া হোক।”

রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুজন উপ-পরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তারা জানায়, পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, কর্মচারী (ডেসপাস রাইডার) মো. খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম এবং সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী মো. শাহাদত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনিশিয়ান নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর মো. সাখাওয়াত হোসেন ও সাইম হোসেন, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম এবং যুবক লিটন সরকার রয়েছেন এই তালিকায়।

সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, “রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষাসহ একাধিক নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসেও জড়িত।”

এর আগে গত ৭ জুলাই চ্যানেল-২৪ পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সিআইডি কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী পিএসসির যেকোনও নিয়োগ পরীক্ষায় এই চক্রের সদস্যরা প্রশ্ন ফাঁস করে অর্থ সংগ্রহ করতেন। ওই পরীক্ষার আগের রাতে চক্রের সদস্যরা তাদের চুক্তি করা শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতনামা স্থানে রেখে প্রশ্নপত্র ও এর উত্তর দিয়ে দেন।

Link copied!