জুন ২৩, ২০২৪, ০৯:৪২ এএম
বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ঐক্যবদ্ধ। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করাই আওয়ামী লীগের আগামীর চ্যালেঞ্জ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি আমাদের অভিন্ন শত্রু বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথ সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দুটি পর্বে আমাদের এই সংগ্রাম, আন্দোলন, অর্জন উন্নয়নকে যদি ভাগ করি একটি অংশে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা কেন্দ্রাতীত শক্তি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পলাশীতে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে সে সূর্য আবার উদিত হয়েছিল। উদিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথকে সামনে রেখে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমাদের মুক্তির স্বপ্ন কখনও বাস্তবায়িত হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তির সংগ্রাম ব্যাহত হয়েছিল। শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচার হয়েছিল। তিনি গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন।”
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বিএনপির অতীত ইতিহাস তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকে জিয়াউর রহমান নিঃশেষ করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ সব কিছুই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত। ঐতিহাসিক ৭ জুন ছিল না, ৭ মার্চ ছিল না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিষিদ্ধ। জয়বাংলা ছিল নিষিদ্ধ। তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ঘুরে বেড়াতো বুক ফুলিয়ে জিয়াউর রহমানের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে। কারাগারে ৪ নেতার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান।”
এই নেতা বলেন, “জিয়ার পরে এরশাদ, এরশাদের পর খালেদা জিয়া- ২১ বছর ধরে আমরা অন্ধকারে ছিলাম। একুশ বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র ছিল নির্বাসনে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বিজয়ের নায়ক, স্বাধীনতার স্থপতিকে বাদ দিয়ে উদযাপন করা হতো।”
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই সরকার ছিটমহল বিনিময় চুক্তি ও ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা নিরসন করেছে।”