ফাইল ছবি
কোরবানির ঈদকে ঘিরে ভারতে চামড়া পাচার ঠেকাতে যশোরের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তগুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শার্শার শিকারপুর, কাশিপুর, রঘুনাথপুর এবং বেনাপোলের পুটখালি, দৌলতপুর, সাদিপুর, ঘিবা, গোগা, রুদ্রপুর, অগ্রভুলোট, পাঁচভুলোট ও দাদখালি সীমান্ত এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ বাড়তি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
যশোর-৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
রাজধানীর পর দেশের অন্যতম বৃহৎ কাঁচা চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট বাজার, যেখানে ২১ জেলার ২০০টিরও বেশি আড়ত ও হাজারো ব্যবসায়ী যুক্ত। প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই বাজারের ওপর নির্ভরশীল।
এবার কোরবানির পশুর সংখ্যা কম হলেও চামড়ার কম দাম, লবণের উচ্চমূল্য এবং ট্যানারি মালিকদের বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে চোরাকারবারিরা বেশি দাম দিয়ে চামড়া কিনে সীমান্ত পথে পাচারের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এর সুযোগে অসাধু চক্র চামড়া সংগ্রহ করে পাচারের চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে শার্শা সীমান্তে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, তল্লাশি চৌকি বসানো এবং চামড়া বহনকারী যানবাহনের সীমান্তমুখী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইছামতি নদী ঘিরে নদীপথে টহলও জোরদার করেছে বিজিবি।
কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, কঠোর নজরদারির ফলে এ বছর কোনো বড় ধরনের চামড়া পাচার সম্ভব হবে না।