অক্টোবর ২৮, ২০২৩, ০৪:১৩ এএম
৩০ বছর পর গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন দলটির আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন। তিনি এখন থেকে গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি হিসেবে থাকবেন। তার পদে স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল। বিশেষ কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফের নির্বাচিত হন মো. মিজানুর রহমান।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের বিশেষ জাতীয় কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দলটির নেতা নুরুজ্জামান।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আপনাদের নিয়ে পথ চলেছি, জাতীয় সমস্যা ও সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, আমার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এখন আর সক্রিয়ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় আমি সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে তথা গণফোরামের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’
ড. কামাল আরও বলেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে দেশ ও জাতির জন্য আমার সাধ্য মোতাবেক অবদান রাখতে চেষ্টা করব। দলের প্রতিও আমার আন্তরিকতা, দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আবেগ-অনুভূতি, সহানুভূতি-সহযোগিতা ও পরামর্শ সব সময়ই থাকবে। এ অবস্থায় গণফোরামের আজকের এই বিশেষ জাতীয় কাউন্সিলে উপস্থিত কাউন্সিলরদের অনুরোধ করব, আপনারা দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে আজ নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকের এই কাউন্সিলে আপনারা গণতান্ত্রিকভাবে যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন, আমি আশা করব—এই কমিটি আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। দেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা সর্বপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা সর্বদা সক্রিয় সচেষ্ট থাকবেন। জয় হোক গণফোরামের, জয় হোক জনতার।’
পরে বিশেষ এই কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ইমেরিটাস সভাপতি পদ সৃষ্টি করা হয়। ওই পদে ড. কামালকে ওই পদে রাখার ঘোষণা আসে। পাশাপাশি সহযোগী সংগঠন করার সুযোগ তৈরি ও ১০ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির বিধান যোগ করা হয় দলটির গঠনতন্ত্রে।
এরপর বিশেষ কাউন্সিলে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামালকে সভাপতি পদে নির্বাচন করা হয় এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবার দায়িত্ব পান মো. মিজানুর রহমান।