সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশসহ ৯ দেশের নাগরিকদের ভিজিট ও কাজের ভিসায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এই নতুন নির্দেশনা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। যদিও এখন পর্যন্ত আমিরাতের সরকারি ওয়েবসাইটে বিষয়টি সম্পর্কিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে উগান্ডার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (আন্তর্জাতিক সহযোগিতা) ওরিয়েম হেনরি ওকেলো চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে নিশ্চিত করেছেন যে, উগান্ডা এই তালিকায় রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমিরাতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। ভ্রমণ, কাজ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দেশটিতে প্রবেশ করতে চাওয়া এই ৯ দেশের নাগরিকদের ভিসা আবেদনও বাতিল করা হয়েছে।
ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাই ইউএইভিসাঅনলাইন ডট কমের প্রতিবেদন অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো: বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, ক্যামেরুন, সুদান এবং উগান্ডা। তবে আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক কারণ প্রকাশ করা হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞার মূল কারণগুলো হলো: অবৈধ বা জাল ভিসা ব্যবহার করে ইউএই-তে প্রবেশ, ভুয়া পরিচয় বা জাল পাসপোর্ট ব্যবহার, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দেশের মধ্যে অবস্থান, অপরাধমূলক ইতিহাস বা চলমান মামলা থাকা, বৈধ কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ করা এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষার বা টিকাদান সংক্রান্ত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়া।
নিষেধাজ্ঞাটি অস্থায়ী এবং ইউএই কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুনঃমূল্যায়ন করতে পারে। ইতিমধ্যেই বৈধ ভিসা নিয়ে যারা ইউএই-তে বসবাস করছেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না। তবে এটি কূটনৈতিক সম্পর্ক ও প্রবাসীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের প্রবাসীরা নতুন চাকরি বা কাজের অনুমতি নবায়নে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।
উগান্ডার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, উগান্ডার কিছু শ্রেণির নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নয়। স্বল্পমেয়াদি ভিসা দেওয়া হবে, কিন্তু কিছু শ্রেণির নাগরিক ভিসা পাবেন না। ইউএই কর্তৃপক্ষ মূলত তাদের লক্ষ্য করছে, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষে দেশে ফেরার ঝুঁকি কম বা যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়ানোর আশঙ্কায় আছেন।
উগান্ডার পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনই আলোচনা শুরু হবে না। নতুন বিধিনিষেধ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে।