সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩, ০৩:৫২ এএম
‘আমরা একটি ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা স্মরণকালের বৃহত্তম ছাত্রসমাবেশ করতে যাচ্ছি। এটি শুধু সংখ্যায় বৃহত্তম হবে না, এই ছাত্রসমাবেশের রাজনৈতিক প্রভাব রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে।’ ‘নো কম্প্রোমাইজ উইথ দ্য কিলার্স’—বার্তাটি ছাত্রসমাবেশের
মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের (১ সেপ্টেম্বর) ছাত্র সমাবেশের প্রস্তুতির কাজ পরিদর্শন শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এ কথা বলেন। এসময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার প্রতি এদেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর যে গভীর ভালোবাসা রয়েছে, তার বহি:প্রকাশ করতেই এই সমাবেশ। এটি শুধু ছাত্রলীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এই ছাত্রসমাবেশের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের আগমনী যে রায় সেটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ এখন দলীয় বিষয় নয়, বাংলাদেশ তরুণ প্রজন্মের কমন
ড্রিমে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, সারাদেশের ছাত্র সমাজ, তরুণ সমাজ, নতুন প্রজন্ম একটি সুরে, একটি নামে ঐক্যবদ্ধ। ষড়যন্ত্রকারীরা আজকেও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে, গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পথ খোলা রেখে তারুণ্যের মাধম্যে এটা আধুনিক,
স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছি।
আগামীকালের স্মরণকালের বৃহৎ ছাত্রসমাবেশে ছাত্রলীগের ৫ লাখ কর্মীর অংশগ্রহণ ছাড়াও কয়েক লাখ সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাদ্দাম হোসেন বলেন, সব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে, যারা প্রগতিশীল রাজনীতি চর্চা করে এমন সংগঠনকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। যারা যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে সাফাই করেছে, রাজাকারের পক্ষে সাফাই করেছে এবং সামরিক স্বৈরশাসকের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে তাদের ছাড়া সব ছাত্র সংগঠনকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
এসময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মরণে স্মরণকালের ছাত্রসমাবেশ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। আগামীকালের ছাত্র সমাবেশে আমরা প্রত্যাশা করছি সারা দেশ থেকে ৫ লাখ শিক্ষার্থীর মহামিলন মেলা অনুষ্ঠিত হব।
ইনান বলেন, আগামী কালকে ছাত্রসমাবেশে লাখো লাখো ছাত্রের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে একটি বার্তা পৌঁছে দেব, তরুণ সমাজ জাতির পিতার কন্যার সাঙ্গে ছিল, জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে আছে। কালকে ছাত্রলীগের এই সমাবেশের মাধ্যমে লাখো তরুণদের সঙ্গে নিয়ে শপথ নিতে চাই, এদেশের অপশক্তি ও অপ তৎপরতাকে রুখে দিতে তরুণ সমাজ প্রস্তুত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে আগামীকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ছাত্রসমাবেশর আয়োজন করছে ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।