নারীরা সমাজের অর্ধেক, তাদের ছাড়া সমাজ অগ্রসর হতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

বাসস

মার্চ ৮, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম

নারীরা সমাজের অর্ধেক, তাদের ছাড়া সমাজ অগ্রসর হতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’

শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে আমাদের আরও অগ্রসর হতে হলে দেশের নারী ও পুরুষকে সমভাবে শ্রম দিতে হবে। কারণ সমাজের অর্ধেক জনশক্তি নারী।’

এসময় নানা প্রতিবন্ধকতা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ে পাঁচ নারীকে ‘সেরা জয়িতা পুরস্কার-২০২৩’ তুলে দেন।

নারীদের সমাজের অর্ধেক অংশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাজের অর্ধেক কাজ না করলে সেই সমাজ দাঁড়াতে এবং সামনে অগ্রসর হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘নারী ও পুরুষ সমানভাবে কাজ করলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আজ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, কারণ আমরা নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি।’

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাদের নারীরা কখনই পিছিয়ে থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘শুধু বলার জন্য নয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এই যাত্রায় নারীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করা যায় তাহলে আমরা দ্রুত আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’

এসময় দেশে প্রথম মুন্সীগঞ্জ জেলায় মহিলা পুলিশ সুপার নিয়োগ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) নারীদের নিয়োগের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যদি নারীদের এই সুযোগ দেওয়া না হতো তাহলে এই সাফল্য আসতো না।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) সবসময় বলতেন, অর্থনৈতিকভাবে মেয়েদের মুক্তিই সবচেয়ে বড় মুক্তি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের যেখানে নিয়োগ দিয়েছি তারা সেখানে তাদের কাজের ক্ষেত্রে বিরাট দক্ষতা প্রদর্শন করেছে, আমি তাদের প্রশংসা না করে পারি না।’

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বিশ্বব্যাংকে দুই নারীর নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই নারী সচিব এই সংস্থাগুলোর জন্য কাজ করার করার সুযোগ পেয়েছেন। আমি সেটা প্রমাণ করতে চাই বাংলাদেশি নারীদের শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কাজ করার দক্ষতা রয়েছে। তারপর থেকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি।’

এ বছর সেরা জয়িতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন আনার কলি (অর্থনীতি), কল্যাণী মিঞ্জি (শিক্ষা ও চাকরি), কমলি রবি দাশ (সফল মা),জাহানারা বেগম (নিপীড়ন প্রতিরোধ) এবং পাখি দত্ত হিজড়া (সামাজিক উন্নয়ন)।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা প্রত্যেকে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, ও সনদপত্র গ্রহণ করেন। শুরুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Link copied!