মার্চ ১৭, ২০২২, ০২:২০ এএম
দেশের নৌবাণিজ্যের ক্ষেত্রে আগামী দিনের মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বঙ্গোপসাগর থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটারের নৌ-চ্যানেলে সাড়ে ৯মিটার ড্রাফটের জাহাজ আনয়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বুধবার মোংলা বন্দরে ‘ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোংলা বন্দরে আসা ও বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া সব জাহাজের সেইফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণ, চ্যানেলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ, দুর্ঘটনাকবলিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার লক্ষ্যে ভিটিএমআইএস প্রবর্তন করা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশনের লক্ষ্যে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ বন্দর পর্যন্ত রেললাইন সংযোজন করা হয়েছে। ছয় লেনের রাস্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু এবং রেল লাইন চালু হলে বন্দরের গতি আরও বেড়ে যাবে। রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বেড়ে যাবে।“
অন্য সব সরকারের আমলে দেশ অন্ধকারে ছিল উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার জন্য জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া যা যা করা দরকার তা করেছে। গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অন্ধকার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।”
এ সময় অন্যদের মধ্যে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, প্রকল্প পরিচালক মো. মামনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মোংলা বন্দরে ইতোপূর্বে কোনো ভিটিএমআইএস ছিল না। ফলে বিদেশি জাহাজের সঙ্গে ‘ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি (ভিএইচএফ)’-এর মাধ্যেমে যোগাযোগ করা হতো। বর্তমানে ভিটিএমআইএসএর মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। মোংলা বন্দর আর্ন্তজাতিক বন্দর হিসেবে ভিটিএমআইএসের মাধ্যমে বিদেশি জাহাজের আগমন ও নির্গমন নিরাপত্তার সঙ্গে নিশ্চিত করা হচ্ছে। বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কারণে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে; যা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।