মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ওই দেশটিকে রাজি করাতে আসিয়ান সদস্যদের প্রভাবিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। খবর বাসস’র।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার বিকেলে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ( ইউএসএআইডি) উপ-প্রশাসক ইসোবেল কোলম্যান এবং জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি স্কট টার্নারের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য ইউএসএআইডিকে ধন্যবাদ জানান।
ড. মোমেন জেআরপির (জয়েন্ট রেসপন্স প্রোগ্রাম) আওতায় রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়ার ঘোষণার প্রশংসা করেন।
তিনি উপকূলীয় বাঁধের মেরামত ও বনায়নের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি প্রকল্প শুরু করার জন্য ইউএসএআইডিকে অনুরোধ জানান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ওয়াশিংটন ডিসির সঙ্গে সম্পর্ক কার্যকর ও অংশীদারিত্ব জোরদারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
কোলম্যান মিয়ানমার থেকে বিপুলসংখ্যক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উপ প্রশাসক উল্লেখ করেন, ভাসানচরে আরও উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ভাসানচরে প্রাথমিক শিক্ষা, জীবিকা, যোগাযোগ ও যাতায়াত সুবিধার ব্যবস্থা করার ওপর জোর দেন।