সহিংসতার মধ্য দিয়ে পঞ্চম ধাপে দেশের ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এসব ইউনিয়ন ভোটগ্রহণ চলে। পরে গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
রংপুর বিভাগ
দিনাজপুর
পঞ্চম ধাপে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর ও পার্বতীপুর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ১০, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ১ ও বিএনপি ৬, স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চিরিরবন্দরের ১২টি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা হলেন- নশরতপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র আওয়ামী বিদ্রোহী মো. আব্দুল ওহাব (অটোরিকশা), সাতনালা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বিএনপির মো. এনামুল হক শাহ (আনারস), ফতেজংপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ লুনার (নৌকা), ঈসবপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবু হায়দার লিটন (নৌকা), আব্দুলপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ময়েনউদ্দিন শাহ (আনারস), অমরপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মো. ইকবাল হোসেন কাজী (মোটরসাইকেল), আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মো. আব্দুর রহিম (মোটরসাইকেল), সাঁইতাড়া ইউনিয়নে সন্তোষ কুমার রায় (নৌকা), ভিয়াইল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বিএনপির মো. আব্দুর রাজ্জাক শাহ (চশমা), পুনট্টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নূর-এ কামাল (নৌকা), তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বিএনপির মো. আজগার আলী (আনারস), আলোকডিহি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মো. তাজউদ্দিন হোসেন শাহ (আনারস) বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
পার্বতীপুরের ৮টি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারীভাবে বিজয়ীরা হলেন- বেলাইচন্ডি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নুর মোহাম্মদ রাজা (নৌকা),মন্মথপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ওয়াদুদ আলী শাহ (নৌকা), চন্ডিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. মজিবর রহমান (নৌকা), মোমিনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বিএনপির নজরুল ইসলাম (আনারস), মোস্তাফাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বিএনপির মতিয়ার রহমান (আনারস), হাবড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আনিছুজ্জামান সরকার (নৌকা), হামিদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রেজওয়ানুল হক (নৌকা), হরিরামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মোজাহিদুল ইসলাম (নৌকা) বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪টিতে নৌকা ও ৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমিনুর রহমান, পামুলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাবু মনিভূষণ রায়, দন্ডপাল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আজগর আলী, টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম রহমান সরকার।
শালডাঙ্গা ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফরিদুল ইসলাম (বিএনপি), সুন্দরদীঘি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হালিম (জামায়াত), সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মশিউর রহমান (জামায়াত) এবং চিলাহাটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ (বিএনপি)।
নীলফামারী
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১০টি ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলে ৩টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ৮টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
ডোমারে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন- সোনারায় ইউনিয়নে গোলাম ফিরোজ চৌধুরী, হরিনচড়া ইউনিয়নে রাসেল রানা ও ডোমার সদর ইউনিয়নে মাসুম আহমেদ।
এই উপজেলার অপর ৭টি ইউনিয়নে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নে রেয়াজুল ইসলাম কালু (আনারস), কেতকীবাড়ি ইউনিয়নে রশিদুর রহমান রোমান (অটোরিকশা), গোমনাতি ইউনিয়নে আহমেদ ফয়সাল শুভ (মোটরসাইকেল), জোড়াবাড়ি ইউনিয়নে সাখায়াত হোসেন বাবু (আটোরিকশা), বামুনিয়া ইউনিয়নে মমিনুর রহমান (মোটরসাইকেল), পাঙ্গামটকপুর ইউনিয়নে আব্দুল হাকিম ভুট্টো ( চশমা), বোড়াগাড়ি ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম রিমুন (আনারস)।
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজার উদ্দিন হ্যাপি।
লালমনিরহাট
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৬টিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী চেয়ারম্যানরা হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম প্রধান (নৌকা) পাটগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোখলেছার রহমান (আনারস) জগতবেড় ইউনিয়নে যুবলীগের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল (নৌকা), কুচলিবাড়ী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হামিদুল হক (নৌকা), জোংড়া ইউনিয়নে পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. মজিবর রহমান (নৌকা), দহগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (নৌকা) ও বুড়িমারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তাহাজুল ইসলাম মিঠু (নৌকা)।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী
পঞ্চম ধাপে রাজশাহীর তিন উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বাগমারার ১৬ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন পাঁচটিতে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চারটি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি নেতারা। এছাড়াও ছয়টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া দুর্গাপুরে ১টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। আর পুঠিয়ার ২টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বাগমারায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন- নরদাশ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুল, শ্রীপুরে মকবুল হোসেন মৃধা, বাসুপাড়ায় লুৎফর রহমান, গোয়ালকান্দিতে আলমগীর সরকার ও সোনাডাঙ্গায় আজাহারুল হক।
এদিকে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন- দ্বীপুরে বিকাশ চন্দ্র ভৌমিক, কাচারী কোয়ালিপাড়ায় মোজাম্মেল হক, সাড়িয়া ইউনিয়নে রেজাউল হক, ঝিকরায় রফিকুল ইসলাম, হামিরকুৎসায় আনোয়ার হোসেন ও যোগীপাড়ায় এমএফ মাজেদুল হক।
অন্যদিকে, বিএনপি প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন- বড়বিহানলী ইউনিয়নৈ মাহমুদুর রহমান মিলন, আউচপাড়ায় ডিএম শাফি, শুভডাঙ্গায় মোশারফ হোসেন ও গণিপুরে মনিরুজ্জামান রঞ্জু।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান।
দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া ইউনিয়নে নৌকা ডুবিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক। বেলপুকুর ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি। আর বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করায় ওই ইউনিয়নে নির্বাচনি ফল স্থগিত করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৬টি নৌকার প্রার্থী ও ৮টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বাকি ৪ জন স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী।
সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন। ঝিলিম ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম লুৎফর রহমান। বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হারুন-অর-রশীদ।
সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান। দেবীনগরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হাফিজুর রহমান। মহারাজপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. নাহিদ ইসলাম রাজন।
রানিহাটি ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী রহমত আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গোবরাতলায় স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী রবিউল ইসলাম টিপু চশমা প্রতীকে চেয়ারম্যান হয়েছেন। শাহজাহানপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. তরিকুল ইসলাম। চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহীদ রানা টিপু পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আলাতুলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জয়নাল আবেদীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চরঅনুপনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এস আব্দুল বাদী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবু হেনা মো. আতাউল হক কমল। নারায়ণপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হয়েছেন বিএনপি নেতা প্রার্থী নাজির হোসেন।
নাটোর
নাটোর জেলা গুরুদাসপুর ও নলডাডাঙ্গা উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪টি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ২টিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর ৫টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আইয়ুব আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বিয়াঘাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। খুবজীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মশিন্দা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল বারী নির্বাচিত হয়েছেন। ধারাবারিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মতিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চাপিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রক্ষপুর ইউনিয়নে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া এস এম আশরাফুজ্জামান আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মাধনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আ. জব্বার মৃধা নির্বাচিত হয়েছেন। খাজুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সোহরাব হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। পিপরুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কলিম উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহজাহান আলী চশমা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বগুড়া
বগুড়ায় পঞ্চম ধাপে ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৯টিতে আওয়ামী লীগ, ১১টিতে স্বতন্ত্র ও ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
শেরপুর উপজেলায় শুধু গাড়ীদহ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা তবিবর রহমান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
দুপচাঁচিয়ায় ৫টি ইউনিয়নের ৫টিতেই চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম হোসেন (মোটরসাইকেল), গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সাখাওয়াত হোসেন মল্লিক (আনারস), চামরুল ইউনিয়নের পুনরায় নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী (ঘোড়া), গুনাহার ইউনিয়নে নুর মোহাম্মদ আবু তাহের (চশমা) ও জিয়ানগর ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন (আনারস)।
গাবতলী উপজেলার ৯টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের চারজন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুইজন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
এই উপজেলায় নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করা চেয়ারম্যানরা হলেন- গাবতলী সদরে ফারুক আহম্মেদ ফারুক, নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নে আব্দুল গফুর, বালিয়াদিঘী ইউনিয়নে ইউনুছ ফকির, দক্ষিণপাড়া ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে দূর্গাহাটা ইউনিয়নে শহীদুল কবীর টনি (মোটরসাইকেল) ও কাগইল ইউনিয়নে আব্দুর রশিদ মোল্লা (আনারস) নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- বিএনপি সমর্থিত রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে আব্দুল ওহাব মণ্ডল (মোটরসাইকেল), মহিষাবান ইউনিয়নে আব্দুল মজিদ মণ্ডল (টেলিফোন) ও নশিপুর ইউনিয়নে রাজ্জাকুল আমিন তালুকদার রোকন (টেলিফোন) ।
আদমদীঘি উপজেলার ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪টিতে নৌকা ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এই উপজেলায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে আব্দুল হক আবু, আদমদীঘি সদর ইউনিয়নে জিল্লুর রহমান, কুন্দগ্রাম ইউনিয়নে শামিম উল ইসলাম ও সান্তাহার ইউনিয়নে নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন- নসরতপুর ইউনিয়নে (চশমা) গোলাম, চাঁপাপুর ইউনিয়নে (চশমা) আব্দুস সালাম।
শিবগঞ্জ উপজেলায় শুধু মোকামতলা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আহসান হাবিব সবুজ নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
জয়পুরহাট
পঞ্চম ধাপে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ১টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- আটাপুর ইউনিয়নে আবু চৌধুরী, বাগজানা ইউনিয়নে নাজমুল হক, ধরঞ্জী ইউনিয়নে আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নে মামুনুর রশিদ মিল্টন আনারস প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন।
একমাত্র মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুবলীগ নেতা এসএম রবিউল আলম চৌধুরী পিন্টু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাবনার বেড়া উপজেলার ৯টি ও ফরিদপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বেড়ার ২টিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নৌকা প্রতীকের দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ফলে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ করা ১৩টি ইউনিয়নের ৮টি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ৫টি নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে বেড়া উপজেলার ৭টির মধ্যে ৬টিতেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
বিজয়ীরা হলেন- বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের আব্দুল হামিদ, কৈটোলাতে ঘোড়া প্রতীকের মহসিন উদ্দিন, চাকলায় ঘোড়া প্রতীকের মো. ইদ্রিস আলী, নতুন ভারেঙ্গায় আনারস প্রতীকের আবু দাউদ, জাতসাকিনীতে আনারস প্রতীকের আবুল কালাম আজাদ মানিক, রূপপুরে আনারস প্রতীকের মো. মহন এবং ঢালারচর ইউনিয়নে নৌকার প্রতীকের কোরবান আলী।
এই উপজেলার নৌকা প্রতীকের পুরান ভারেঙ্গায় রফিক উল্লাহ এবং মাসুমদিয়ায় শহীদুল হক বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন।
ফরিদপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে নৌকার সরোয়ার হোসেন, হাদলে নৌকার সেলিম রেজা, বৃলাহিড়ীবাড়ীতে নৌকার জাহিদুল ইসলাম রিপন, পংগলীতে নৌকার সাজেদুল ইসলাম সুমন, ডেমরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা এবং বনওয়ারী নগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ
এই ধাপে সিরাজগঞ্জের মোট ১৮টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সদরের দুইটি, তাড়াশ উপজেলার ৪টি এবং কাজিপুর উপজেলার ১২টি ইউপি রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। একটি ইউপির ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দুটিতে নৌকার প্রার্থী ও দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন- তালম ইউনিয়নে মো. আব্দুল খালেক (নৌকা), মাগুড়াবিনোদ ইউপিতে মেহেদী হাসান ম্যাগনেট (নৌকা), সগুনা ইউপিতে স্বতন্ত্র জুলফিকার আলী ভুট্ট (আনারস) ও দেশীগ্রাম ইউপিতে স্বতন্ত্র জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক (আনারস)।
সদর উপজেলার দুটি ইউপির মধ্যে কাওয়াকোলা ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া মুন্সী বিজয়ী হয়েছেন। আর মেছড়া ইউপির ফলাফল ঘোষণা নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় বুধবার রাত ২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন জেলা নির্বাচন কমিশনার শহিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার পর এই ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
কাজিপুর উপজেলার ১২টি ইউপির মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের ১১ জন বিনাভোটে জয়ী হয়েছেন। আর মুনসুরনগর ইউনিয়নে প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাককে সমর্থন জানিয়ে একমাত্র বিদ্রোহী প্রার্থী খালেক মুন্সী ভোটের লড়াই থেকে সরে যান।