ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় দুই মেম্বরপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আরিফ হোসেন (২০) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অনন্ত ১৫ জন। মঙ্গলবার (২২ জুন) রাত ৩টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে সন্ধ্যায় উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের বিল ছোনাউটা গ্রামের কেরাত আলী খান মাদ্রাসাসংলগ্ন বাজারে সংঘর্ষে আহত হন আরিফ।
তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আরিফ হোসেন উপজেলার ছোনাউটা গ্রামের শিক্ষক শাহ আলম আকন লাল মিয়ার ছেলে। তিনি বাগেরেহাট সরকারি পিসি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সংঘর্ষে কলেজছাত্র আরিফ হোসেন ও আলিম সিকদারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে আরিফ হোসেনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কর্মী বেধে রাখায় সংঘর্ষের সূত্রপাত
নিহতের মা শাহনাজ পারভীন, বাবা লাল মিয়া জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ছোনাউটা কেরাত আলী দাখিল মাদ্রাসাসংলগ্ন বাজারের পিকনিকের আয়োজন করে উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বর) মজিবর রহমানের সমর্থকরা। এ সময় পরাজিত মেম্বরপ্রার্থী ফারুক মিয়ার কর্মী আলী হোসেনকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মজিবর রহমানের সমর্থকরা আটক করে ও বেঁধে রাখে। তাকে উদ্ধারের জন্য পরাজিত মেম্বরপ্রার্থী ফোরকানের লোকজন জড়ো হলে মেম্বর মজিবর রহমানের ৪৫-৫০ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
সংঘর্ষে আহত ১৫ জন
হামলায় ১৫ জন আহত হন। এর মধ্যে কলেজছাত্র আরিফ হোসেন (২০), শাহনাজ পারভীন (৫০), শাহ আলম লাল মিয়া আকন (৬০), সরিফুল ইসলাম (২৫), সেহরাফ হোসেন আকন (৫৫), আব্দুল মালেক (৬০), ইব্রাহীম আকন (২৫), আলিম সিকদার (৬০) গুরুতর আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (আমুয়া) ভর্তি করা হয়।কাঁঠালিয়া থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, সংঘর্ষে কলেজছাত্র আরিফ হোসেন নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। নিহত আরিফের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, ২১ জুন এ উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।