বাংলাদেশের জন্য একমাত্র শেখ হাসিনাই অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই বলেও তিনি জানান।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দৃষ্টি,বাক, শ্রবণ ও শারীরিক প্রতিবন্ধিদের মাঝে শাড়ী, লুঙ্গি, হুইল চেয়ার ও সাদা ছড়ি বিতরণ করা হয়।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। অনুষ্টানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “২০০৭ সালে ১/১১ সময়ে এক সরকারি কর্মকর্তা আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন শেখ হাসিনা অপরিহার্য আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে? আজকে ওই প্রশ্নের উত্তর শেখের বেটী দিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি অপরিহার্য বাংলাদেশের জন্য। নেত্রী তাঁর কর্মের মাধ্যমে ঐ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, একমাত্র শেখ হাসিনাই অপরিহার্য বাংলাদেশের জন্য। শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই।”
বিএনপি-জামাত সরকার এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল উল্লেখ করে শেখ পরশ বলেন, “শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এদেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাই এমপি বলেন আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না, সাজা হচ্ছে। ১৯৭৫ পরবর্তী অনেক সরকার দেখেছি, কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের মত ও সততা-ন্যায়পরায়ণতা আর কোন সরকার দেখাতে পারে নাই এই ৫০ বছরের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে।”
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ থেকে শেখ হাসিনা কখনও বিচ্যুত হন নাই উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “বরঞ্চ বঙ্গবন্ধুর সামাজিক ন্যায় বিচার এবং ন্যায় পরায়ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনা দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে জাতির পিতা হত্যার বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার ত্যাগ ও তিতিক্ষার ফলে বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটা উন্নয়নশীল দেশই নয়, একটা মর্যাদাশীল দেশও বটে। শেখ হাসিনা একজন আত্মপ্রত্যয়ী, মানবতাবাদী ও দূরদর্শী নেতৃত্ব হিসাবে আজকে নিজেকে সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সহনশীলতা ও দৃঢ়তা, ধৈর্য, যেন তাঁর চরিত্রগত ধর্ম। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে সারা পৃথিবীতে নন্দিত। তিনি গণমানুষের নেতা থেকে আজ বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন।”
যুবলীগ চেয়ারম্যান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাদের সামনে অনেক কাজ। আপনারা যদি যুবলীগ করতে চান, তাহলে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে হবে। শেখ হাসিনা যে রাজনৈতিক মানদন্ড স্থাপন করেছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সাথে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিএনপি-নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “জিয়াউর রহমান একজন খুনি, এই বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সন্ত্রাসী সংগঠন আবারও নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরে করেছে। তারা শেখ হাসিনার সরকার পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরে যাবে না। আজকের এই সভা থেকে বলতে চাই-যদি আবারও আগুন সন্ত্রাসী করেন, পিছন দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেন, দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তাহলে আপনাদেরকে ঘর থেকেই বের হতে দেওয়া হবে না।”