বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে তাও বিশ্বের মাঝে রোল মডেল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুরের বিরলে বহলা বধ্যভূমিতে ‘গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার’ এর পরিবেশনায় ‘জোনাকি পোকার গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে নৌ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, করোনার আগে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে; কিন্তু মহান আল্লাহর কৃপায় ও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা এই মহামারীকে মোকাবিলা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে আমরা বাংলাদেশের জনগণকে নিরাপদ রাখতে সমর্থ হয়েছি। তার যেই পরিকল্পিত নেতৃত্ব, পরিকল্পিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং জনগণের মাঝে তা ছড়িয়ে দেয়ার যে ব্যবস্থাপনা; সেটা সফলতা লাভ করেছে। তাইতো বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় যে মডেল তৈরি হয়েছে, সেটা পৃথিবীর মানুষ এখন জানতে চায়, পৃথিবীর মানুষ বুঝতে চায়। তিনি বলেন, করোনা মহামারীতে সমগ্র পৃথিবীর অর্থনীতি যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে; তখন পৃথিবীর ৫টি অগ্রসরমান অর্থনীতির একটি বাংলাদেশ। সমগ্র পৃথিবীতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থাকবেনা। মধ্যম আয়ের দেশ হবে, উন্নত দেশ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দারিদ্র্যকে জয় করেছি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করেছি।
বেগম খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছেন মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনর্গল মিথ্যা কথা বলার কারণে মির্জা ফখরুল ইসলামকে এখন সবাই মিথ্যা ফখরুল বলে। ফখরুলের প্রতি প্রশ্ন রেখে খালিদ বলেন, তাহলে কি মির্জা ফখরুল আপনি জানজুয়ার সেই চিঠি পড়েননি। জানজুয়ার মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া সব প্রটোকল ভেঙ্গে কীভাবে শোকবার্তা পাঠিয়েছিল! তারপরও আপনি কীভাবে বলেন, কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেন। দেশের মুক্তিযোদ্ধারা এ ধরনের মিথ্যাচার মেনে নিবেনা।
দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সামিউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিজরা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন। ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী খান লাকী।