করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোনোভাবেই থামছে না এই জেলায় মৃত্যুমিছিল।ভারতের সীমান্তবর্তী এই জেলায় করোনার মৃত্যু মিছিলে প্রায় প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে ডজনেরও বেশি মরদেহ।
সোমবার (১২ জুলাই) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৪ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৮ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত ছিলেন। অন্য ৬ জন করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎনাধীন ছিলেন।
কুষ্টিয়া জেলা সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রবিবার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন,‘গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। ১০২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের শতকরা হার ২৬ দশমিক ৯৭ হয়েছে।’
কুষ্টিয়া জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গত ৭ দিনেই কুষ্টিয়ায় ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এই ৭ দিনে আরও অন্তত ৩০ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। একই সময় এ জেলায় ১ হাজার ৮১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার সংক্রমণ শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র করোনা পজিটিভ শনাক্ত ৩৪৯ জনের মৃত্যু হলো।
এদিকে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমে বলেন, হাসপাতালের ২০০ বেডে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ও করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া মোট ৩০০ জন চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ১৯২ জন। অন্যরা করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ‘ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৭০ ভাগ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ডা. আব্দুল মোমেন আরও জানান, দায়িত্বে অবহেলা নজরদারি করতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। দুই এক দিনের মধ্যেই ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হবে।