বেটা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো সরকারের জন্যই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবীতে জাতীয়তাবাদীমুক্তিযোদ্ধা দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবির জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “এটা করা সরকারের জন্যই ভালো। আল্লাহ না করুক তার কোন ক্ষতি হলে এই দেশের জনগন আপনাদেন রেহাই দিবে না। তাই বিলম্ব না করে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন, না হলে খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর জন্য আপনারাই দায়ী থাকবেন।”
বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারি হাসপাতালগুলোতে গেলে কেউ চিকিৎসা পায় না। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন। ব্যাংক গুলোকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছেন। আর কথায় কথায় বলেন উন্নয়নের রোল মডেল নাকি বাংলাদেশ।”
‘রাস্তায় পড়ে থাকে মানুষ না খেয়ে, কৃষরা তাদের ধানের দাম পায় না’ মন্তব্য করে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, “আমাদের শ্রমিক ভাইরা তাদের মুজুরি পায় না। আমাদের নিম্নবিত্ত আরো নিম্নবিত্ত হচ্ছে। মধ্যবিত্ত আরো নিম্নবিত্ত হয়ে যাচ্ছে। দারিদ্রের সীমা আরো নিচে নেমে গেছে।”
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সবাইকে আহবান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “এখানে মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত হয়েছে, তাদের রাইফেল একবার গর্জে উঠেছিলো ১৯৭১ সালে আরেকবার রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।”
আইনমন্ত্রী আনিসুর রহমানের কথায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে সরকার ১৮ সালের মতো নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে- উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “আইনমন্ত্রী বলেছেন চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন। নির্বাচন কমিশনের একটি আইন হবে কিন্তু আগামী নির্বাচন এই আইনের অধীনে হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।” এর মাধ্যমে আবারও ভোটের আগের রাতে অপজিশন পার্টিদের পিটিয়ে বের করে দিয়ে মাঠ খালি করে নির্বাচনে পদ দখল করে নেবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবি যৌক্তিক। প্রয়োজন হলে সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও হাফ পাশের ব্যবস্থা করতে হবে।”
জাতীয়বাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আহবায়ক আবদুস সালাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয় সম্পাদক জয়নাল আবেদিন।
