ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নওজোর, সফিপুর ও গড়াই ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার বেলা ১২ টার পর থেকে ফ্লাইওভারগুলো খুলে দেওয়া হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকবে। ফ্লাইওভার তিনটি খুলে দেওয়ায় যাত্রীদের সমস্যা অনেকটা দূর হবে। আশাকরি, যানজট অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।”
এর আগে, গতকাল রবিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে ঢাকা বাইপাস প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ প্রকল্পের প্রথম দফার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নওজোর, সফিপুর ও গড়াই ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, “জয়দেবপুর মোড় থেকে অ্যালেঙ্গা মোড় হাটিকুমরুল পর্যন্ত তিনটি ফ্লাইওভার ছিল। বাজার, শহর থাকায় এখানে যানজট সবসময় লেগেই থাকতো। নওজোর, সফিপুর ও গড়াই—এই তিনটি ফ্লাইওভার আমরা কালকের মধ্যে খুলে দিচ্ছি। আমি গতকাল এটা সরেজমিনে দেখার জন্য গিয়েছি। দেখেছি এটা খুলে দেওয়ার মতো। এই তিনটি ফ্লাইওভার খুলে দিলে সমস্যা অনেকটা দূর হবে।” নলকায় আরেকটি সেতু আগামীকাল (২৫ এপ্রিল) খুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, দেশের উত্তর অঞ্চলের ২৩টি জেলার ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা। প্রতি ঈদে এসব সড়ক পথে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। যানজটে পড়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
যানজটের এ দুর্ভোগ কমাতে ২০১৯ সালে গাজীপুর মহানগরীর নাওজোড় ও সফিপুরে দুটি ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়। এতে কাজ চলমান থাকায় প্রতিদিনই যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রীদের।