জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’ স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ জুন) নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এই লাউঞ্জের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লাউঞ্জটিতে বিভিন্ন বই, ছবি, প্রামাণ্যচিত্র ও গ্রাফিক্যাল ডিসপ্লের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। বহপাক্ষিকতাবাদ, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি জাতির পিতার যে গভীর আস্থা ও বিশ্বাস ছিল, বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জের এ সংগ্রহ যেন তা-ই ফুটিয়ে তুলেছে।’ এসময় তিনি লাউঞ্জটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর আরও বই ও প্রদর্শণী সামগ্রী দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘গত বছর লাউঞ্জটি স্থাপনের কাজ শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্ভব হয়নি। আমার বিশ্বাস, লাউঞ্জটি মিশনে আগত সুধিজনদের বিশ্ব শান্তির প্রতি জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।’
স্বাধীন হওয়ার পর ৩ বছর পর ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। তখন থেকে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল(ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয় (ইউএনওপিএস) এর নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি বাংলাদেশ।
এছাড়া, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এজেন্ডাসমূহ শ্রেণিবিন্যাসের ক্ষেত্রে গঠিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় কনসালটেশনের ফ্যাসিলেটেটর এবং পঞ্চম জাতিসংঘ এলডিসি কনফারেন্সের প্রস্তুতি কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ।
এদিকে, সোমবার বিকালে জাতিসংঘের অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি অস্কার এর সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আলোচনাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতীক বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর পরিবহনে, বাংলাদেশ বিমানকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সহায়তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।