মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল হাজারীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররমে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে জয়নাল হাজারীর কফিনে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। এসময় অন্যদের মধ্যে জাসদের সাধারণ সম্পাদক নেত্রী শিরীন আখতার, আওয়ামী লীগ নেতা বি এম মোজাম্মেল, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, অসিম কুমার উকিল, যুবলীগ নেতা মাইনুল হোসেন খান নিখিল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত,জয়নাল হাজারী সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জয়নাল হাজারী। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
জয়নাল হাজারী ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। ছাত্রাবস্থায় ফেনী সরকারি কলেজে তৎকালীন ছাত্র মজলিশের (বর্তমান ছাত্র সংসদ) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছিলেন। এরপর বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। পরে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদেও দায়িত্ব পালন করেন জয়নাল হাজারী।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে ১৭ আগস্ট রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। তিনি তখন ভারতে চলে যান। ২০০৪ সালে জয়নাল হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত থেকে দেশে ফেরেন এবং চলমান মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে একে একে সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান হাজারী। কিন্তু ফেনী জেলা আওয়ামী লীগে ফিরে পাননি নিজের হারানো অবস্থান। পরে তিনি ‘হাজারিকা প্রতিদিন’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনায় মনোযোগী হন।
রাজনৈতিক সতীর্থ ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিষয়ে নানা মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকা জয়নাল হাজারী ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে পদ পান।