মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান গণটিকা কার্যক্রমে টিকা প্রাপ্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবেন।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এসময় খুরশীদ আলম বলেন, ‘২৫ বছর বা এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া এবার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে।’
সারা দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা ও ১২টি সিটি করপোরেশনের ৪৩৩টি ওয়ার্ডে করোনার টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে অন্তত ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
টিকা দেওয়া হবে মূলত ৭ আগস্ট। ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে ৭ আগস্ট করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না এবং পৌরসভার কোনো ওয়ার্ডে ৭ আগস্ট টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না; এসব জায়গায় ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেওয়া হবে।
তবে ১২টি সিটি করপোরেশনে ৭ থেকে ৯ আগস্ট তিন দিন করোনার টিকা দেওয়া অব্যাহত থাকবে। ৮ ও ৯ আগস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা কার্যক্রম চলবে। আর ১০ থেকে ১২ আগস্ট রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা, কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।