সরকার মামলা-রায় দিয়ে আন্দোলনকে বাধা দিতে চায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে সাজার মাধ্যমে সরকার বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে চায়। আদালতে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সরকার একতরফা নির্বাচনের যে পাঁয়তারা করছে, তা এবার হতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনই নির্বাচন দিতে হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা টুকু ও আমানের সাজা হাইকোর্টে বহাল; আত্মসমর্পণের নির্দেশ
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা একই কাজ করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে না। তাই জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক মামলায় এ রায় দেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে, চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২০০৭ সালের মার্চে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় একই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা। এক বছরের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন।