ঢাকায় মেট্রোরেলের পর পাতাল রেলে কী থাকবে?

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ০৪:২৩ পিএম

ঢাকায় মেট্রোরেলের পর পাতাল রেলে কী থাকবে?

মেট্রোরেলের পর পাতাল রেলের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবার কথা। এটি বাস্তবায়ন করতে খরচ হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এটি চালু হলে প্রতি ১০০ সেকেন্ড পর পর চলাচল করবে।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের রাজউক কমার্শিয়াল প্লট মাঠে পাতাল মেট্রোট্রেন নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন করবেন। 

তথ্যানুযায়ী, মেট্রোরেলের যে অংশ মাটির নিচ দিয়ে চলবে সেটিই পাতাল রেল নামে পরিচিতি পাচ্ছে। 

এমআরটি লাইন-১ এর আওতায় নির্মাণ হবে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার রেলপথ। এই পথে থাকবে দু'টি রুট বিমান বন্দর (বিমান বন্দর থেকে কমলাপুর) আর দ্বিতীয় পূর্বাচল রুট (নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো)। 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রুটের দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। এই রুটে মোট পাতাল স্টেশন থাকবে ১২টি। বিমানবন্দর- কমলাপুর রুটই হবে দেশের প্রথম পাতাল রেলপথ। মেট্রোরেলের মতো এটিও হবে বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন এবং এটি হবে দূর নিয়ন্ত্রিত ট্রেন। দূর নিয়ন্ত্রিত ট্রেনের জন্য থাকবে অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার।

এমআরটি-১ এর রেললাইনে দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে, দ্বিতীয়টি উড়ালপথ। এ পথে স্টেশনের সংখ্যা মোট ৯টি। উড়াল-পাতাল মিলিয়ে প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন থামবে প্রতি আড়াই থেকে সাড়ে তিন মিনিট পর পর। এই ৩১ কিলোমিটার পথে চলবে ২৫টি ট্রেন। যার প্রতিটি একবারে তিন হাজারের বেশী যাত্রী পরিবহন করার সক্ষমতা থাকবে। প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে দৈনিক ৮ লাখ যাত্রী পরিবহন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Link copied!