সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশির ভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে কিছু পণ্যের দামও কমেছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি ও ছোলার দাম বেড়েছে। কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে তেল ও চিনির দাম বাড়িয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে, এ দুই পণ্য ও চাল বাদে বাকি পণ্যগুলো প্রায় পুরোটা আমদানিনির্ভর। সেগুলো পণ্যের দাম নির্ধারিত না থাকায় দফায় দফায় বাড়ছে।
বাজারে মোটা চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে।
প্যাকেট আটায় ৪ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দায় দাম ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায়, খোলা আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।
লিটারপ্রতি ১২ টাকা বেড়ে বোতল সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এতদিন ১৫৮ টাকা ছিল।
বেড়েছে ডালের দামও। খোলা বাজারে মসুর ডালের কেজি মানভেদে ১১০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলার প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া ১৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। যদিও বাজারে প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দামে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, সপ্তাহ খানেক আগে এর দাম ছিল ৬০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।
এদিকে বাজারে ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ১৯০ বা তারও বেশি দামে। সেই হিসাবে এই মাংসের দাম কমেছে ১০ টাকা। অন্যদিকে, বাজারে কমতে শুরু করেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা।