আবারো উৎসবের আবহে ফিরছে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই উৎসব। এবার ফিরছে উৎসবের রঙে। সারাদেশে এবার ৩২ হাজার ১৬৮ টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গোৎসব।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামী ১ অক্টোবর থেকে। যা ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
তবে আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে দুই ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। একটি হলো: জঙ্গি হামলার, আরেকটি হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করা। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কাজে করছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে, ভুয়া একাউন্ট খুলে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়ার একটি প্রবণতা সবসময়ই থাকে। গত বছর কুমিল্লার একটি মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখা নিয়ে যে ঘটনা ঘটলো, সে ধরনের অপচেষ্টা এবছরও থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মাস খানেক আগে থেকে আমরা এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, প্রায় ৫০ জন ছেলে তাদের বাড়িঘর ত্যাগ করেছেন। তারা কোথায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তা নিয়ে আমরা কাজ করছি ও অনেক দূর এগিয়েছি। আশা করি, ফিল্ড অপারেশনে আসার আগেই আমরা তাদের ধরতে পারবো।
পূজামণ্ডপগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে, যেসব স্থানে সিসি ক্যামেরা নেই সেসব স্থানে ২৪ ঘণ্টাই নজরদারিতে রাখা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।