দেশে দারিদ্রের হার কমেছে। দেশে ২০২২ সাল শেষে দারিদ্রের ওই হার দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে। দারিদ্র্যের ওই হার ২০১৬ সালে ছিলো ২৪.৩ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ছিল ৩১.৫ শতাংশ। ধারাবাহিকভাবে এই দারিদ্র হার কমছে।
এদিকে অতিদরিদ্রের হারও কমে এসেছে। এই হার এখন ৫.৬ শতাংশ। দারিদ্রের হার শহর এলাকায় ১৪.৭ শতাংশ ও পল্লীতে ২০.৫ শতাংশ। আর অতিদরিদ্র শহরে ৩.৮ শতাংশ এবং পল্লীতে ৬.৫ শতাংশ। ২০১৬ সালে অতি দরিদ্র ছিলো ১২.৯ শতাংশ।
হাউজহোল্ড ও ইনকাম এন্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) বা খানার আয় ও ব্যয় জরিপের মাধ্যমে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ জরিপ পরিচালনা করে।
বুধবার বিবিএস ভবনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিবিএস এর তথ্যে জানা যায়, দারিদ্র্যের এই হার ২০১৬ সালে ছিলো ২৪.৩ শতাংশ, ২০১০ সালে ৩১.৫ শতাংশ, ২০০৫ সালে ৪০ শতাংশ ২০০০ সালে ৪৮.৯ শতাংশ, ১৯৯৬ সালে ৪৭.৫৩ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ৪৭.৫২ শতাংশ, ১৯৮৫ সালে ৫৫.৫৬ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ৭০ শতাংশ ও ১৯৭৩ সালে ৮২ শতাংশ।
হাউজহোল্ড বা খানার মাসিক গড় আয় বর্তমানে ৩২ হাজার ৪২২ টাকা। ২০১৬ সালে এ আয় ছিলো ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা ও ২০১০ সালে ছিলো ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা।
গড় মাসিক ব্যয় বেড়ে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। ২০১৬ সালে ছিলো ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা ও ২০১০ সালে এ ব্যয় ছিলো ১১ হাজার ২০০ টাকা।
বেড়েছে স্বাক্ষরতার হারও
দেশে স্বাক্ষরতার গড় হার ২০২২ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭৪ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে ৭০.৩ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ৮২.০ শতাংশ। স্বাক্ষরতার গড় হার ২০১৬ সালে ৬৫.৬ শতাংশ ও ২০১০ সালে ৫৭.৯১ শতাংশ ছিলো।
দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন ৯৯.৩২ শতাংশ খানা বা গৃহস্থালী ২০১৬ সালে এ হার ছিলো ৭৫.৯২ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৫৫.২৬ শতাংশ।