ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যু গায়েবানা জানাজা আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর কথা ও কাজে যদি মিল না থাকে আমরা কোথায় যাব। তিনি আমাদের যে কথা দিয়েছিলেন তা রাখতে পারলেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আপনারা আন্দোলন করেন। তাঁর বাসায় চায়ের দাওয়াত। অথচ আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণও চলে যায়। তাহলে আমি বলতে চাই, ওনার হাতে কি ক্ষমতা নেই? দেশে কোন বিচার নেই কেন? আমরা এধরনের নৈরাজ্য চাই না।”
বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং জ্বালানি খাতে ‘অব্যবস্থাপনার’ প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার জেলা সদরেও বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ছিল। সেদিন নেতা-কর্মীরা জেলা কার্যালয়ে সমাবেশ করে মিছিলের প্রস্তুতি নিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাঁধে।
সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল রহিম। ওই ঘটনায় নুরে আলমের মাথায় গুলি লাগে। পরে তাকে ভোলা থেকে ঢাকায় নিয়ে এসে কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার মারা যান তিনি।