বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের পদ্মা ও গঙ্গায় যৌথভাবে পানি পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট ও ভারতের গঙ্গার ফারাক্কা পয়েন্টে এই পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে দুই দেশের প্রতিনিধিদল।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে এই পর্যবেক্ষণ শুরু হয়।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, প্রথম ১০ দিন ফারাক্কায় ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম পানির প্রবাহ থাকলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই ৫০ শতাংশ করে পানি পাবে। দ্বিতীয় ১০ দিন, ফারাক্কা পয়েন্টে ৭০ হাজার কিউসেক পানিপ্রবাহ থাকলে বাংলাদেশ ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে। তৃতীয় ১০ দিন ফারাক্কা পয়েন্টে ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি পানিপ্রবাহ থাকলে ভারত পাবে ৪০ হাজার কিউসেক পানি, বাকিটা পাবে বাংলাদেশ। তবে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ১১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশ ৩ দফা ১০ দিনের হিসাবের ক্রমানুসারে ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে।
জেলা পাউবোর হাইড্রোলজি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। গত বছর এই সময়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল ১ দশমিক ১০ লাখ কিউসেক। এ বছর রয়েছে ১ দশমিক ৬ লাখ কিউসেক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হাইড্রোলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পানি চুক্তির পর প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এ পর্যবেক্ষণ চলে। এ বছরও সে অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা ভারতের ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি পর্যবেক্ষণ করছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে একইভাবে পর্যবেক্ষণ চলছে।
ভারতের পর্যবেক্ষক দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের (সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন) নির্বাহী প্রকৌশলী বসন্ত কুমার ও প্রকৌশলী দীপক কুমার। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের আড়াই হাজার ফুট উজানে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পয়েন্টে এ পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে প্রতিনিধিদলটি।