সুইস ব্যাংকসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের ব্যাংকগুলোতে কতজন বাংলাদেশির কী পরিমাণ টাকা রাখা আছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেসঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। তালিকা দাখিলের পরে পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ৩০ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
এছাড়া বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। এছাড়া দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস গণমাধ্যমকে জানান, পানামা পেপারসসহ বিভিন্ন পেপারসে নাম আসায় বাংলাদেশিদের সাজার বিষয়টি রিট পিটিশনে সংযোজন করা হয়। সেটি নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট করেন। রিটে মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।