মার্চ ২৯, ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায়, সংক্ষুব্ধ হয়ে থানায় মামলা রুজু করে সেই অনুযায়ী পুলিশ কিন্তু ব্যবস্থা নিতেই পারে। আমি যতটুকু জানি, একটা মামলা রুজু হয়েছে।’ সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে সিআইডি পরিচয়ে তাঁর বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন তিনি।
প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসকে তাঁর বাসা থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত (বুধবার ভোর) চারটার দিকে সিআইডির পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। সিআইডির পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা সাধারণ পোশাকে ছিলেন। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বাসা সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আমবাগান এলাকায়। তবে স্থানীয় পুলিশ ও সিআইডির ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
আজ সচিবালয়ে বেলা দুইটার দিকে সাংবাদিকেরা শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন কিন্তু নিজস্ব গতিতে চলে। আইন অনুযায়ী, সমস্ত কিছু চলে, রাষ্ট্র বলেন সবকিছু চলে। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায়, সংক্ষুব্ধ হয়ে থানায় মামলা রুজু করে সেই অনুযায়ী পুলিশ কিন্তু ব্যবস্থা নিতেই পারে। আমি যতটুকু জানি, একটা মামলা রুজু হয়েছে।
কারা মামলাটি করেছে এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে সব রিপোর্টগুলো আসেনি। আপনারা প্রশ্ন করছেন, আমিও বিভিন্নভাবে জেনেছি। এটাকে কেন্দ্র করেই কিছু একটা হয়েছে। আমি এখনো পরিষ্কার নই। আমি পরিষ্কার হয়ে আপনাদের ঘটনাটা জানাব।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তবে প্রথম আলোর সাংবাদিকসহ যিনি উদ্ধৃতিটা করেছেন সেটি সঠিক ছিল না, যেটা নাকি একাত্তর টিভির মাধ্যমে আপনারাই প্রচার করেছেন। আপনারাই সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারাই সংক্ষুব্ধ হয়ে একাত্তর টিভির মাধ্যমে এই সংবাদটা যে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে এটা একাত্তর টিভিতে এটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমরা মনে করি স্বাধীনতা দিবসে আমরা এত দূর এগোনোর পরে এই ধরনের একটা ভুয়া নিউজ যদি কেউ দেয় তাহলে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হবে। আপনাদেরও নিশ্চয়ই এই নিউজটা ভালো লাগেনি।