‘নারী ধর্ষণ’ অপরাধের পাশাপাশি বলাৎকারকে ‘পুরুষ ধর্ষণ’ অপরাধ হিসেবে যুক্ত করতে দণ্ডবিধিতে ধর্ষণ সংক্রান্ত ৩৭৫ ধারাটি সংশোধন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দণ্ডবিধিতে ধর্ষণ সংক্রান্ত ৩৭৫ ধারাটিতে পুরুষ কর্তৃক নারীকে ধর্ষণের কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু নারী কর্তৃক নারী অথবা পুরুষ কর্তৃক পুরুষকে ধর্ষণের কথা উল্লেখ নেই। মূলত এটিই সংশোধন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি এ রিটটি করা হয়। মানবাধিকারকর্মী তাসমিয়া নূহাইয়া আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক ড. মাসুম বিল্লাহ ও সমাজকর্মী ড. সৌমেন ভৌমিকের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি রিটটি দায়ের করেন।
রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বিবাদী করা হয়।
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল ওইদিন বলেন, “সম্প্রতি দেশে ছেলেশিশু তথা পুরুষকে যৌন নির্যাতন ও বলাৎকারের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কিন্তু, এ ধরনের নির্যাতনকে ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে বিচার করা যাচ্ছে না। তাই দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় সংশোধন এনে ‘নারী ধর্ষণ’ এর অপরাধের পাশাপাশি অপরাধ হিসেবে ‘পুরুষ ধর্ষণ’ বিষয়টিকে যুক্ত করার আবেদন করা হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “রিটে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে পুরুষ কর্তৃক শিশুদের বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে এ ধরনের অপরাধ ধর্ষণের মতোই শাস্তিযোগ্য যাতে করা হয়। সেটি আমরা চাই।