বাঘ সংরক্ষণে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০১:১১ পিএম

বাঘ সংরক্ষণে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাঘ এবং চিতাবাঘের আবাসস্থল সংযুক্ত থাকায় প্রাণিগুলোকে সংরক্ষণে দুই দেশের আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

রবিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের কর্ণাটকের মহিশুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্প ‘টাইগার’- এর ৫০ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে সাতটি এবং বাংলাদেশেই দুটি বড় বিড়াল প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এগুলোর সংরক্ষণের গুরুত্ব বিবেচনা করে এই প্রজাতিগুলোর আশ্রয়কারী দেশগুলোকে নিয়ে আমরা ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স (আইবিসিএ) গঠনকে নীতিগতভাবে সমর্থন করি।’

সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণে শূন্য শিকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে বন্য বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে। আশার বিষয় হলো বর্তমানে বাঘের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।’

শুধু বাঘ নয়, অন্যান্য বন্য প্রজাতি সংরক্ষণেও সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা ও উন্নতির জন্য সংবিধানে একটি নতুন ধারা; বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এ বাঘ শিকারের জন্য ২ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে।  

এদিকে, বাঘ ও মানুষের সংঘাত কমাতে সরকার ‘গ্রাম টাইগার রেসপন্স টিম’, ‘কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটি’ এবং ‘কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপ’ গঠন করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বন্যপ্রাণীর দ্বারা ক্ষতিপূরণ বিধিমালা, ২০২১-এ বাঘের আক্রমণে নিহত ব্যক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রয়েছে। অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসা রোধে বন বিভাগের অধীনে বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে শেখ কামাল বন্যপ্রাণী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে।’

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সরকারি উদ্যোগ সফল করা সহজ হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

এর আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের সাতটি বড় বিড়াল প্রজাতির প্রাণী যেমন বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, তুষার চিতা, পুমা, জাগুয়ার এবং চিতার সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের ওপর মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স (আইবিসিএ) উদ্বোধন করেন।

Link copied!