জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ১২:২০ এএম
বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিলটি উত্থাপনের পরে পাঁচদিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ওই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারবে। এজন্য জনস্বার্থে কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ-জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, মজুত, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে।
এতদিন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করত। এখন দাম বাড়ানোর জন্য এই শুনানির দরকার হবে না। সরকার প্রয়োজন মনে করলে দাম বাড়াতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখার স্বার্থে নিয়মিত ও দ্রুত শুল্ক সমন্বয়ের জন্য বিইআরসির পাশাপাশি সরকারের ক্ষমতা সংরক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধনের প্রয়োজন।
গত ১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনের ধারায় সংশোধন আনা হয়। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকেই অধ্যাদেশটি সংসদে উপস্থাপন করতে হয়। সে অনুযায়ী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ৫ জানুয়ারি অধ্যাদেশটি সংসদে তুলেছিলেন। এখন এটি বিল আকারে সংসদে তোলা হয়েছে।