ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ১২:১৪ এএম
‘ব্যবসায়ীরা দেশের সম্পদ’ মন্তব্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এসময় তিনি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সরকারপ্রদত্ত সুবিধা গ্রহণেরও আহবান জানান।
রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপের চারটি সমুদ্রগামী জাহাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত দেশকে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে নিয়ে চলেছে যা দৃশ্যমান। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ দেশের সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য আজ এক মাইলফলক স্থাপন করেছে।”
জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়াদের আমলে ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে মানুষের যে নেগেটিভ ধারণা ছিল; তা এখন নেই উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ অন্যান্য বিনিয়োগকারিদেরকে মেঘনা গ্রুপের মত সরকার প্রদত্ত সুবিধা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি ২০৪১ সালের আগেই আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবীতে দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। সামনে এগিয়ে যেতে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এ চ্যালেঞ্জও থাকতনা যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে লুটপাট, দুর্নীতি শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। স্পেশাল কোন কাজ হয়নি। এখন আমরা বর্ণিলভাবে আছি। আগে এমন ছিলাম না। তামাটে অবস্থা ছিল।”
নৌপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “যুদ্ধবিধ্বস্থ বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু একটি শক্ত ভিত রচনা করেছিলেন। মেরিটাইম সেক্টরের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বলতে হয়। তিনি টেরিটোরিয়াল জোন ও মেরিটাইম বাউন্ডারি এ্যাক্ট প্রণয়ন করন। বঙ্গবন্ধুর সেই উন্নয়নের ধারায় থাকলে শুধু মেরিটাইম সেক্টর থেকেই ২০০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের জন্য পেতাম।”
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, এইচএসবিসি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব-উর-রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী পরে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল প্রাঙ্গণে বার্থ অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর ও টার্মিনাল অপারেটরের অধীনে নিয়োজিত শ্রমিকদের মাঝে বোনাসের চেক বিতরণ করেন।