সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) বছরে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নির্বাচন কমিশনে মাহবুব তালুকদার ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন জানিয়ে কে এম নুরুল হুদা বলেন, “মাহবুব তালুকদারের কথা আমি বরাবরই বলেছি। ইসিতে উনি ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। উনি রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। মাহবুব কখনো আইসিইউতে কখনো সিসিইউতে ছিলেন। এছাড়া উনি সিঙ্গাপুর, ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব চিকিৎসার ব্যয় কমিশন থেকে করা হয়। এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা।”
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জটিল অসুখে আক্রান্ত, আইসিইউতে। তাই ইসি বাঁচাতে জরুরিভাবে মেডিকেল বোর্ড গঠনের পরামর্শ দিয়ে গত বছরের অক্টোবরে আলোচনায় আসেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
এবার তাকে 'সারা বছর অসুস্থ থাকে’ দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, “মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসায় নির্বাচন কমিশনকে বছরে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “কোনো নির্বাচন হলে বা আমাদের কোনো অনুষ্ঠান হলে তিনি ৬-৭ দিন পর্যন্ত বেছে বেছে বের করেন, কোন শব্দটা কোন জায়গায় বলা যায়। যেটা মিডিয়ায় কাভারেজ হয়। উনি ব্যক্তিগতভাবে যেটা বলেন, সেটা উনার ব্যক্তিগত মতামত।”
জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাহবুব তালুকদার নানান সময় ইসির সমালোচনা করেছেন। সেসব সমালোচনার পর তাকে নিয়েও সমালোচনা ও বিতর্ক ছড়িয়েছে।
ইসির একজন কমিশনার নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, বিনা ভোটের নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করেন- এই বিষয়ে সিইসির বক্তব্য জানতে চাইলে কে এম নুরুল হুদা বলেন, “বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে ইসির কী করার আছে? এটা তো প্রার্থীদের সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বিনা ভোটে নির্বাচিত কেন হলো- এটা দেখার কোনো এখতিয়ার কমিশনের নেই। নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে কোনো এলিমেন্ট নেই।”