যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজির দাম বাড়ছে না। আবাসিকে একচুলা ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ১০৮০ টাকা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। রবিবার বিকেল ৩টায় এই নতুন দর ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। একচুলা বর্তমানে ৯৫০ টাকা ও দুই চুলার জন্য ৯৭৫ টাকা বিল দিতে হচ্ছে আবাসিক গ্রাহকদের। নতুন দামে ১১শ টাকা পর্যন্ত হতে পারে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম।
যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না করায় কিছুটা স্বস্তির প্রকাশ করেছেন অনেকে। তারা বলেছেন, এতে অন্তত অরাজকতার সম্ভাবনা কমে গেল। যানবাহনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হলে সবশেষ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে (২০১৯ সালে) পাইকারি দর প্রতি ঘনমিটার ১২.৬০ টাকা করা হয়। ভর্তুকি দিয়ে ৯.৭০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয় বিইআরসি। মার্চে টানা ৪ দিনব্যাপী গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির যুক্তি হিসেবে পেট্রোবাংলা বলেছে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে গেছে। যে কারণে স্পর্ট মার্কেট থেকে চড়া দরে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। এ জন্য ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। তবে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির পক্ষে মতামত দেয় গণ শুনানিতে।
অন্যদিকে ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি মুল্য বৃদ্ধির উপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পাইকারি দর ঘোষণা হলেই খুচরা দরের প্রসঙ্গ সামনে চলে আসবে।