ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারামারির পর ঘটনা দেশের শীর্ষ আদালত চত্বরে ছড়িয়ে পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এ ঘটনায় বিচারক, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীদের নিরাপত্তায় আদালত অঙ্গনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আগামী রবিবার থেকে সে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বৈঠক করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বৈঠকের পর আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “আগামী রবিবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের গেটগুলোতে আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই মুখপাত্র বলেন, “বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীরা যাতে সুপ্রিম কোর্টে নির্বিঘ্নে, স্বাচ্ছন্দে থাকতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালত অঙ্গনে বহিরাগতরা যেন ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি পদ্মা সেতু ইস্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের জেরে ছাত্রদলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কয়েক শ নেতাকর্মীকে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে অবস্থান নিতে দেখা যায়। দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের মাজারের সামনে থেকে ছাত্রদলের একটি মিছিল মাজার গেট দিয়ে বের হয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে যেতে চাইলে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক ও রড দেখা যায়। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার এক পর্যায়ে ছাত্রদলের একটি গ্রুপ পিছু হটে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে ঢুকে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ্ ঘটনার পরপরই সুপ্রিম কোর্ট, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। ওই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, রমনা অঞ্চলের ডিসি, আপিল ও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন।