মে ১০, ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম
দক্ষিণ-পূ্র্ব বঙ্গোসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্ট হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বুধবার দুপুরের আগেই এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ‘ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মোখা’।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিম্নচাপটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মে) পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়।
ওই বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরণের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত,আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হলে তাকে ‘ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। বাতাসের গতিবেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হলে তাকে বলে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’। গতিবেগ ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে তাকে ‘হারিকেনের গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়’ এবং তার চেয়ে বেশি গতিবেগ হলে তাকে সু‘পার সাইক্লোন’ বলা হয়।