দু’দিন বন্ধ রাখার পর সোমবার (১০ মে) পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, মাওয়া ঘাটে ফেরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঈদের ঘুরমুখো যাত্রীদের মানবিকতার কথা বিবেচনা করে সব রুটে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
ঈদে ঘুরমুখো যাত্রীরা ঘাটে দুর্ভোগে পড়েছেন। হঠাৎ ফেরি বন্ধের ঘোষণায় ঘাট এলাকায় ছোট গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন আটকে থাকা গাড়ির চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। এরমধ্যে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যান পারাপারে একটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাটে ভেড়াতে গেলে যাত্রীরা দৌঁড়ে সেখানে ওঠার চেষ্টা করেন। ঘাট পারাপারে মরিয়া হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। দু’দিন বন্ধ রাখার পর সোমবার (১০ মে) পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, মাওয়া ঘাটে ফেরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘাটে ঈদে ঘুরমুখো যাত্রীরা অনেক দুর্ভোগে পড়েছেন। এসব মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করেই ফেরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মূলত মানবিক বিষয় চিন্তা করেই ফেরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যেসব মানুষ ঘাটে পৌঁছে গেছেন তারা যাবেন কোথায়?
ঈদ পর্যন্ত ফেরি চলাচল করবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ঈদ পর্যন্ত সব রুটেই ফেরি চলবে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।